Sech Bandhu Prakalpa

Sech Bandhu Prakalpa কী, Eligibility ও Benefits ই বা কি পাবেন সেচ বন্ধু প্রকল্প এর মাধ্যমে!

Sech Bandhu Prakalpa  |  সেচ বন্ধু প্রকল্প  |  Bangla Krishi Sech Scheme  |  Sech Bandhu Egiye Bangla  | New scheme in West Bengal 2022 | Sech Bandhu Scheme WBSEDCL

কাজের ক্ষেত্রে জল সরবরাহের গুরুত্ব আবশ্যক। প্রায়ই দেখা যায়। সেচের উপযুক্ত জলের অভাবের কারণে কৃষকদের বিভিন্ন সমস্যায় পড়তে হয়। অপরদিকে পরিকল্পনামাফিক জলের ব্যবহার না হওয়ার কারণে প্রায়ই দেখা যায় জল অপচয়। লক্ষণীয় যে সঠিক জল সেচ এবং জল সংরক্ষণের মাধ্যমে উভয় সমস্যা সমাধান করা যেতে পারে। কৃষি ক্ষেত্রে বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য রাজ্য সরকার এই প্রকল্প চালু করেছে। এই প্রকল্প সফল করতে ৪২০০ কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে এবং  শুধু কৃষিকাজে ব্যবহারের জন্য পৃথক একটি বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইন তৈরি করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। প্রকল্প-ব্যয়ের ৬০ শতাংশ অর্থ দেবে কেন্দ্রীয় সরকার এও জানিয়েছেন কেন্দ্র সরকার।

মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মহাশয় কর্তৃক পশ্চিমবঙ্গে এই প্রকল্প চালু করার মূল লক্ষ্য হল দরিদ্র কৃষকদের বিনামূল্যে ফসল সেচ সুবিধা সহ তাদের ফসল চাষ বৃদ্ধি করতে সহায়তা করা।এই প্রকল্পের আওতায় পশ্চিমবঙ্গের সরকার কৃষকদের জন্য ক্ষুদ্র-সেচ সুবিধা স্থাপন করেছে। এটি কৃষিক্ষেত্রে জলের প্রয়োজনীয়তা পূরণ করবে, সুলভ মূল্যে কৃষকরা সেচের জন্য প্রয়োজনীয় জল পেতে পারে সর্বোপরি জলের অপচয় রোধে কার্যকর হবে এই প্রকল্প।

সেচ বন্ধু প্রকল্প কী? (What is Sech Bandhu Prakalpa? )

পশ্চিমবঙ্গ সরকারের এক দুর্দান্ত উদ্যোগ বাংলা কৃষি সেচ বন্ধু প্রকল্প | এই প্রকল্প এর মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের উপকৃত হবে এছাড়া তাদের কৃষি ব্যবস্থার উন্নতি ঘটবে | এই প্রকল্প এর মাধ্যমে ক্ষুদ্র কৃষকেরা স্বল্প জল ব্যবহার করে ভালো চাষাবাদ করতে পারবে,  যা তাদের  উপার্জনের উন্নতিতে সহায়তা করবে | পশ্চিমবঙ্গের পূর্বাঞ্চল অন্যতম প্রধান ধান উৎপাদনকারী রাজ্য। তবে শুধু ধানই নয়, বিভিন্ন ফসলের চাষ হয় এখানে। কিন্তু পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাতের অভাবে, এখানে  প্রায়শই দেখা দেয় খরা। এতে কৃষকদের লোকসানের সম্মুখীন হতৎপাদন ।

এমনকি প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে অর্থাৎ পড়ার কারণে অনেক কৃষকেরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকে | এই যোজনার ফলে সেইসব সমস্যা দূরীভূত হবে | কৃষকদের এই দুরাবস্থার কথা বিবেচনা করে, রাজ্য সরকার একটি মাইক্রো-সেচ প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছেন, যা জল সম্পদ সংরক্ষণ করবে, আবার কৃষকদের বেশী ফসল উৎপাদনেও সহায়তা করবে। এই প্রকল্পের নাম ‘সেচ বন্ধু প্রকল্প  যা বাংলা কৃষি সেচ যোজনা’ নামেও পরিচিত।

সেচ বন্ধু প্রকল্প  সূচনার উদ্দেশ্য কি? (Objective of Sech Bandhu Prakalpa):-

  • মূল উদ্দেশ্য আরও কৃষি জমিকে নিশ্চিত সেচব্য়বস্থার আওতায় নিয়ে আসা। জলের অপচয় রোধ করা। জলের সর্বোত্তম ব্যবহার করা। যথাযথভাবে সেচ পদ্ধতি গ্রহণ করা ও তার প্রয়োগ করা।
  • জলসাশ্রয়কারী নানা প্রযুক্তিকে আরও বেশি করে প্রয়োগ করা। জলের উৎসগুলি যাতে ঠিকঠাক থাকে সেটাও নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে এই বিশেষ প্রকল্পের মাধ্যমে।
  • কৃষি উন্নয়ন – এই প্রকল্পের মূল লক্ষ্য হল দরিদ্র কৃষকদের বিনামূল্যে ফসল সেচ সুবিধা সহ তাদের ফসল চাষ বৃদ্ধি করতে সহায়তা করা।
  • মাইক্রো সেচ সুবিধা স্থাপন – এই প্রকল্পের আওতায় পশ্চিমবঙ্গের সরকার কৃষকদের জন্য ক্ষুদ্র-সেচ সুবিধা স্থাপন করেছে। এটি কৃষিক্ষেত্রে জলের প্রয়োজনীয়তা পূরণ করবে, সর্বোপরি জলের অপচয় রোধে কার্যকর হবে।
  • সেচ পদ্ধতি – কর্তৃপক্ষ দুটি নির্দিষ্ট সেচ কৌশল চিহ্নিত করেছে। একটি স্প্রিঙ্কলার সেচ এবং অন্যটি ড্রিপ সেচ। এই দুটি পদ্ধতিই জলে সংরক্ষণে সহায়তা করবে। ড্রিপ সেচ ব্যবস্থা ইনস্টল করতে ব্যয় হয় প্রায় ৭০,০০০ টাকা এবং স্প্রিঙ্কলার সেচ মেশিন ইনস্টল করতে ব্যয় প্রায় ২০,০০০ টাকা।
  • ফ্রি মেশিন ইনস্টলেশন – রাজ্য সরকার এই বিষয়টি সম্পর্কে অবগত যে, দরিদ্র কৃষকদের মেশিনগুলি ইনস্টল করার জন্য এত টাকার ব্যবস্থা করা অসম্ভব। সুতরাং, সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে সমস্ত মেশিন বিনামূল্যে প্রদান এবং ইনস্টল করা হবে।
  • শস্যের ধরণ – খাদ্যশস্যের চাষএই সেচ প্রকল্পটি শাকসবজি এবং ফল আবাদের জন্যও ক্ষেতে পর্যাপ্ত পরিমাণে জল সরবরাহ করবে।
  • বাস্তবায়ন অঞ্চল – এই প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে পুরুলিয়া, বাঁকুড়া ও জঙ্গলমহল জেলা তালিকার শীর্ষে রয়েছে। এই স্কিমটি মূলত সেই অঞ্চলে প্রয়োগ করা হবে, যেখানে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ খুব কম।

সেচ বন্ধু প্রকল্পের জন্য কারা আবেদন করতে পারবে? (Who are Eligible for Sech Bandhu Prakalpa):-

সরকার এই প্রকল্পের আওতায় পশ্চিমবঙ্গের সকল ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের জন্য সুবিধা প্রদান করবে। সুতরাং, সকল কৃষকই আবেদন করতে পারবেন।

সেচ বন্ধু প্রকল্পের সুবিধা কি? (Benefits of Sech Bandhu Prakalpa):-

  • এটি আরও নিশ্চিত করে যে ফসলের খরা পরিস্থিতি দ্বারা ক্ষতিগ্রস্থ হবে না। এই  যোজনার মাধ্যমে কৃষি ক্ষেত্রে উন্নতি সাধন ঘটবে |
  • কৃষকেরা  স্বল্প জলের ব্যবহার করে ভালো ফসল উৎপাদন করবে |খরা অঞ্চলে মাইক্রো সের্চ ব্যবহার করে কৃষকেরা ফসল উৎপাদন করবে, এর ফলে উৎপাদনের হার বৃদ্ধি পাবে |
  • এই যোজনার মাধ্যমে  প্রাপ্ত অর্থ দিয়ে ক্ষুদ্র কৃষকেরা তাদের কৃষিকাজের উন্নতি সাধন করতে পারবে, এই যোজনার মাধ্যমে খাদ্যশস্য ছাড়াও শাকসবজি ফল চাষের উন্নতি ঘটবে |
  • আর্থিক দুর্বলতার কারণে যে সমস্ত কৃষকরা কৃষি কাজ ছেড়ে দিচ্ছে তারা আবার নতুন করে কৃষি কাজের সঙ্গে যুক্ত হবে |
  • ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের জন্যই এই প্রকল্পের প্রচলন করা হয়েছে। তবে, এই প্রকল্পটি রাজ্য সরকার নতুনভাবে প্রচলন করেছে, অনলাইন আবেদনের পদ্ধতি এখনও ঘোষিত হয়নি।
  • এই প্রকল্পের সুবিধা পেতে গেলে কৃষককে ব্লক টেকনিক্যাল ম্যানেজার-এর সাথে যোগাযোগ করতে হবে।
  • তবে ওয়াকিবহাল মহলের মতে, একাধিক রাজ্যে বিধানসভা ও লোকসভা ভোটের দিকে তাকিয়ে কৃষকদের মন ভেজাতে একেবারে আদাজল খেয়ে ময়দানে নেমেছে মোদী সরকার।

সেচ বন্ধু প্রকল্পের জন্য আবেদন পদ্ধতি (Application Process of Sech Bandhu Prakalpa):-

একমাত্র অফলাইনেই এই প্রকল্পের সুবিধা কৃষক পেতে পারেন। কারণ, এই প্রকল্পের জন্য অনলাইনে আবেদন এখনও শুরু হয়নি। তাই কৃষককে আবেদন করতে হলে স্থানীয় এগ্রিকালচার ডেভেলপমেন্ট অফিসার (Agriculture Development Officer) –এর সাথে যোগাযোগ করতে হবে। এডিও অফিসে গিয়ে সেখানে কৃষককে নিজের পরিচয় পত্র, বাসস্থানের প্রমাণপত্র এবং জমি সংক্রান্ত সকল নথি সহ এডিও-র চাহিদা মোতাবেক সকল দস্তাবেজ দাখিল করতে হবে। এরপর কৃষকের নথি সরকার দ্বারা প্রতিপাদন করা হবে। এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলেই কৃষক এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন।

FAQ:-

1. Sech Bandhu Prakalpa Launching Date কী?

12 September 2014 

2. Sech Bandhu Prakalpa Official Website কোনটি?

https://wb.gov.in/

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *