Sabar Ghare Alo Scheme

Sabar Ghare Alo Scheme কী ? Benefits ই বা কী পাবেন সবার ঘরে আলো প্রকল্প এর মাধ্যমে জানুন বিস্তারিত !

সবার ঘরে আলো প্রকল্প | Sabar Ghare Alo Scheme | সর্বগৃহ দীপ প্রকল্প | Sarba Griha Deep Prakalpa 

রাজ্য সরকার পশ্চিমবঙ্গের 11টি পিছিয়ে পড়া জেলায় পরিবারের বিদ্যুতায়ন অর্জনের জন্য বিশেষ প্রকল্পের অধীনে সবার ঘরে আলো নামে পরিবারের ‘সর্বজনীন বিদ্যুতায়ন’ ঘোষণা করেছে। উত্তর দিনাজপুর, পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, জলপাইগুড়ি, পূর্বমেদিনীপুর ও বাঁকুড়া। একটি পরিমাণ টাকা 31শে মার্চ 2013 পর্যন্ত এই উদ্দেশ্যে 837 কোটি টাকা গৃহীত হয়েছে। এই প্রকল্পের বাস্তবায়ন জুলাই 2012 সালে শুরু হয়েছিল এবং সম্ভবত দুই বছরের মধ্যে শেষ হবে। এই প্রকল্পের আওতায় 28214টি গ্রাম, 21 লাখ বিপিএল পরিবার এবং 17 লাখ এপিএল পরিবারকে বিদ্যুতায়িত করা হবে।

সবার ঘরে আলো প্রকল্প কী?|( What is Sabar Ghare Alo Scheme?)

পশ্চিমবঙ্গ সরকার প্রত্যেক মানুষের ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে যে প্রকল্পটি নিয়েছিল, তার নাম ‘সর্বগৃহ দীপ প্রকল্প’। তবে এই প্রকল্পটি ‘সবার ঘরে আলো’ নামেই বেশি পরিচিত। সরকারের তরফে ঠিক করা হয়, বিআরজিএফ-এর (ব্যাকওয়ার্ড রিজিয়নস গ্রান্ট ফান্ড) খাতে বাংলার ঘরে ঘরে পৌঁছবে আলো। এর জন্য প্রাথমিক ভাবে পশ্চিমবঙ্গের ১১টি জেলাকে বেছে নেওয়া হয়।

মাত্র দু’বছরেই পশ্চিমবাংলার প্রত্যেক ঘরে আলো পৌঁছে দেওয়ার কাজ ভাবনা ছিল এই প্রকল্পে। ফলে চিরাচরিত শক্তির ব্যবহার কিছুটা হলেও কমানো যাবে বলে আশা করা হয়েছিল। ফলে বিদ্যুৎ শুধু প্রয়োজনীয়ই নয়, বরং অপরিহার্য হয়ে উঠেছিল।

সবার ঘরে আলো প্রকল্প এর উদ্দেশ্য কী ?(Objective of Sabar Ghare Alo Scheme):-

  • প্রতি ঘরে বিদ্যুতের সুবিধে থাকলে দিনের আলো নিভে যাওয়ার পরে আলো-পাখা জ্বালিয়ে প্রাণের আরাম হবে, এমনটা শুধু নয়। গ্রামে নিরাপত্তার ব্যাপারটিও খানিক সুনিশ্চিত করা যাবে। আবার অন্য দিকে জ্বালানি বাঁচবে।
  • 2012 – 2013 সালে প্রাথমিক ভাবে লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছিল যে, দু’বছরের মধ্যেই যেন সমস্ত ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছয়।
  • অর্থনৈতিক দিক থেকে দেশ এগোলেও এখনও ভারতের বহু অংশে আলো পৌঁছয়নি। স্বাধীনতার সাত দশক পরও আজও অন্ধকারে জীবন ধারন করতে হয় গ্রামীন ভারতের একটা বড় অংশকে। বিদ্যুতের অভাবে তাঁদের জীবনযাত্রাও আধুনিকতা থেকে অনেকটাই পিছিয়ে। তাই এই প্রকল্প নির্বাচন করা হয় | 
  • গ্রামের প্রত্যেক ঘরে আলো পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে ২০১৩ সালের ৩১ মার্চ বরাদ্দ করা হয় প্রায় ৮৩৭ কোটি টাকা। এই প্রকল্পের কাজ শুরু হয় ২০১২ সাল নাগাদ। প্রাথমিক অনুমান ছিল, এর ফলে ২৮২১৪টি গ্রামে প্রায় ২১ লক্ষ বিপিএল পরিবার এবং ১৭ লক্ষ এপিএল পরিবারের ঘরে বৈদ্যুতিক আলোর সংযোগ দেওয়া যাবে।

সবার ঘরে আলো প্রকল্প এর সুবিধা কি ? (Benefits of Sabar Ghare Alo Scheme):-

  • যে কোনও সভ্যতার বিকাশে আলোর গুরুত্ব অপরীসিম। পিছিয়ে শিক্ষালাভের সুবিধে থেকেও। আর্থ-সামাজিক অগ্রগতির এই যুগে বিদ্যুতের অভাব সামগ্রীকভাবে প্রতিকূল করে তুলছে তাঁদের জীবন।
  • আলোই যে কোনও সভ্যতার অগ্রগতির অন্যতম হাতিয়ার। অথচ, আলোতে থাকার মতো ন্যূনতম সুযোগও পান না বহু মানুষ |
  •  অন্ধকারময় পরিস্থিতি থেকে মুক্তি দিতেই গ্রামবাংলার ঘরে ঘরে বিদ্যুত পৌঁছে দেওয়ার পরিকল্পনা করে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। যার অঙ্গ হিসেবে সূচনা হয় সবার ঘরে আলো প্রকল্পের। প্রকল্পের আওতায় ইতিমধ্যে এসেছেন বহু মানুষ। প্রকল্পের সুবিধাও পেয়েছেন তাঁরা।
  • পশ্চিমবঙ্গ সরকারের প্রকল্প ‘সবার ঘরে আলো’র সৌজন্যে। এখন প্রত্যন্ত এলাকাতেও আর আঁধার নয়, দেখা যাবে আলোর রোশনাই। আঁধার চেরা আলোতে নতুন স্বপ্ন দেখবে গ্রাম বাংলা। আর সেই আলোর পথেই প্রসারিত হবে শিক্ষার পথ।

সবার ঘরে আলো Scheme টির  সমন্ধে অন্যান গুরুত্বপূর্ণ বিষয় :-

  •   একটা সময়ে যখন বিদ্যুতের এত প্রচলন ছিল না, তখন কেরোসিনের তেলে দিব্যি সমাজ-সংসার চলে যেত। পুরনো দিনের সেই সন্ধের পরেই কুপি বা লম্ফ জ্বালিয়ে তার টিমটিমে আলোয় পড়াশনা করা কিংবা কাজে ব্যস্ত থাকার দৃশ্য যতই ভালো লাগুক বা নস্টালজিক করে তুলুক না কেন, তা আদৌ এখনকার দিনে সম্ভব নয়। অথচ পশ্চিম বাংলার প্রতিটা জেলায় আলো-আঁধারির ছবিটা গত কয়েক বছর আগেও ছিল মারাত্মক। দিনের আলো নিভে গেলেই দুর্দশার অন্ত থাকত না সাধারণ মানুষের। সেই ছবিটাই আমূল বদলে গিয়েছে ।
  •    সমগ্র আলিপুরদুয়ার জেলায় ‘সবার ঘরে আলো’প্রকল্পে ১০০% গ্রামীণ বৈদ্যুতিকরণের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। দমনপুরে নতুন ৩৩/১১ কেভি বিদ্যুৎ সাব-স্টেশন তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি শামুকতলায় নতুন ৩৩/১১ কেভি বিদ্যুৎ সাব-স্টেশন তৈরির কাজ চলছে। আবার কোচবিহার জেলাতেও ‘সবার ঘরে আলো’প্রকল্পের আওতায় ১০০% গ্রামীণ বৈদ্যুতিকরণের কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
  •    মুর্শিদাবাদ জেলায় ১০০% গ্রামীণ বৈদ্যুতিকরণের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। সাগরদিঘি তাপবিদ্যুৎ প্রকল্পে ৫০০ মেগাওয়াট সম্পন্ন ৪ নম্বর ইউনিট চালু করা হয়েছে। হাতে নেওয়া হয়েছে প্রায় ৬৬০ মেগাওয়াট সম্পন্ন ৫নং ইউনিটের কাজ | বীরভূমেও ‘সবার ঘরে আলো ‘ প্রকল্পের আওতা ১০০% গ্রামীণ বৈদ্যুতিকরণের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়া আরও বাকি জেলাগুলিতে উল্লেখযোগ্য কাজ হয়েছে এই প্রকল্পের আওতায়।

FAQ:-

1. Sabar Ghare Alo Scheme টির Official Website কোনটি?

ANS:- https://wbpower.gov.in/

2. Sabar Ghare Alo Scheme Launch Date কি ?

ANS:- July , 2012

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *